আ হ জুবেদঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানার্থে কুয়েতের জে ডব্লিউ মেরিওট হোটেলে ২৬শে মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এক অনাড়ম্বর অভ্যর্থনা ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস, কুয়েত।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, কাউন্সিলর (পাসপোর্ট ও ভিসা বিভাগ) জহিরুল ইসলাম খাঁন, ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ সগিরুল ইসলাম, কুয়েতে সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার স্বপরিবারে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
উৎসবমুখর আবহ আর নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার কুয়েত সিটির জে ডব্লিউ মেরিওট হোটেলে শতাধিক বিদেশী কূটনীতিকদের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের আপ্যায়ন ও অভ্যর্থনা সহ কুয়েত-বাংলাদেশ দু-দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কাটায় অংশ নেন কুয়েতের তেলমন্ত্রী ড. খালেদ আলী আল-ফাদেল।
এসময় কুয়েতে অবস্থিত শতাধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিজেন্ট’র সদস্যবৃন্দ, দেশ-বিদেশের সাংবাদিকগনসহ প্রবাসী সূধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
কুয়েত দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম ও কুয়েতের রাষ্ট্রীয় তেলমন্ত্রী ড. খালেদ আলী আল-ফাদেল বক্তব্য রাখেন।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম,আবুল কালাম জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন এবং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বর বিষয়টিকেও তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
পাশাপাশি দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে পুরোনো বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ সাবাহ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গভীরতা স্মরণ করেন।
অন্যদিকে কুয়েতের তেল মন্ত্রী ড. খালেদ আলী আল-ফাদেল বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনাসহ বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করেন।
এছাড়াও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের জনগণকে স্বাগতিক রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, কুয়েত সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দরা।
তারা বাংলাদেশ ও কুয়েত ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিশেষত বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেষে প্রীতিভোজের মধ্যদিয়ে কূটনীতিকদের সম্মানার্থে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।